BRAKING NEWS

তৃণমূলের আইন অমান্য ঘিরে উত্তেজনা, জলকামানে স্বাভাবিক

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ ফেব্রুয়ারি৷৷ তৃণমূল কংগ্রেসের আইন অমান্য আন্দোলনের জেরে বৃহস্পতিবার সার্কিট হাউস

বৃহস্পতিবার আগরতলায় তৃণমূলের আইন অমান্য আন্দোলনে জল কামান৷ ছবি নিজস্ব৷

এলাকা চত্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷ তৃণমূল কর্মীরা এদিন রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে মিছিল করে মহাকরণের উদ্দেশ্যে আইন অমান্য আন্দোলনের কর্মসূচী উপলক্ষ্যে রওনা দেন৷ হাজার হাজার কর্মী সমর্থক এদিন তৃণমূলের আইন অমান্য আন্দোলনে সামিল হন৷ ১৫ দফা দাবির ভিত্তিতে এই আন্দোলন সংগঠিত করে তৃণমূল কংগ্রেস৷ মিছিলটি সার্কিট হাউস এলাকায় গেলে পুলিশ তাদের পথ আটকে দেয়৷ তখনই তৃণমূলের কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙ্গে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ তখন পুলিশের সাথে তৃণমূলের কর্মীদের হাতাহাতিও হয়েছে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে পুলিশ প্রশাসন জলকামান ব্যবহার করে৷ জলকামান দিয়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সক্ষম হয় পুলিশ৷ পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে হাতাহাতিতে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী আহত হন৷ তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷

এদিন এই আইন অমান্য আন্দোলন কর্মসূচীতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পঞ্চায়েত রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যামল ছাত্রা অংশ নেন৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরা চিটফান্ডের আতুরঘর ছিল অথচ এই রাজ্যে সিবিআইএর নজর পড়ছে না৷ পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের নেতাদের সিবিআই জালে তুলছে৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সাথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সখ্যতার কারণেই এই রাজ্যে সিবিআই আসছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি৷ পাশাপাশি বলেন, নারীরা এরাজ্যে মোটেও সুরক্ষিত নন৷ তাই আগামী ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে বামফ্রন্ট সরকারকে উৎখাত করে তৃণমূলের সরকার গঠনের লক্ষ্যে আজ থেকেই দল রাজ্যব্যাপী লাগাতর আন্দোলন সংগঠিত করবে৷ শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গ থেকে বহু নেতা এরাজ্যে প্রদেশ তৃণমূলের বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করবেন৷

এদিন, অন্যান্যদের মধ্যে এই আইন অমান্য আন্দোলনে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ, বিশ্ববন্ধু সেন, প্রণজিৎ সিংহা রায়, দিবাচন্দ্র রাংখল, তৃণমূল রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক আশিস কুমার সাহা, প্রদেশ যুব তৃণমূল সভাপতি সুশান্ত চৌধুরী প্রমুখ৷

এদিন, এই আন্দোলন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিভিন্ন বক্তারা সম্প্রতি রাজ্য বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের কড়া সমালোচনা করেন৷ তাদের বক্তব্য, ১৪ লক্ষ আমানতকারী চিটফান্ড সংস্থাগুলির কারণে সর্বস্বান্ত হয়েছেন৷ অথচ রাজ্যপালের ভাষণে এনিয়ে কোন উল্লেখ ছিল না৷ প্রদেশ তৃণমূল নেতৃত্বরা জানিয়েছেন, ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত চিটফান্ড, কর্মসংস্থান, নারী সংক্রান্ত অপরাধ সহ ইস্যুতে লাগাতর আন্দোলন সংগঠিত করা হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *