অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করতে গিয়ে সরকারী আবাসনে তোপের মুখে নিগমের কর্মীরা

electricity lineবিশেষ প্রতিনিধি, বিলোনীয়া, ২ ডিসেম্বর৷৷ সরকারী আবাসে অবৈধ্যভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী সংযোগ ছিন্ন করতে গিয়ে গালী গালাজ খেল বিদ্যুৎ দপ্তর ও ডিজিলেন্স দপ্তরের আধিকারিকরা৷ দীর্ঘদিন যাবৎ বিল না দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছিল জেলা শাসক অফিস সংলগ্ণ পূর্তদপ্তর নির্মিত সরকারী আসারের বাসীন্দারা৷ বেশ কয়েকজ জন গ্রেজেটেট অফিসারও রয়েছে তালিকায়৷ বৃহস্পতিবার অবৈধ্য বিদ্যুৎ লাইন গুলি কাটতে গেলে বিশ্রিভাবে গালিগালাজ খেতে হয় বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে এক সময় এস ডি এম ও ডি এম কে মাঠে নামতে হয়৷ বৃহস্পতিবার দিন ভর বিদ্যুৎ ছিল প্রায় কুড়িখানা সরকারি আবাসনে৷ অনেক অনুরোধ, উপর মহল থেকে বারবার ফোন ও শাসক দলীয় বেশ  কয়েকজন নেতা দিনভর বিদ্যুৎ দপ্তরের অফিসে দৌড়ঝাপ করার পর রাত প্রায় এগারটায় পূনরায় বিদ্যুৎ সংযোগগ করা হয়৷ বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করার রাজ্য সরকারের এক আমলাকে ক্ষমা চাইতে হয়েছে হাত জোর করে  সূত্রের খবর৷ রাতে পুনরায় আলো দেখেন এক বিডিও৷ ঐ বিডিও-র বিরুদ্ধের বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের সাথে খারাপ আচরোনের অভিযোগ রয়েছে৷ বিদ্যুৎ নিগমের কর্মীরা বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় এই অভিযানে নামে৷ বিদ্যুৎ নিগমের সিদ্ধান্ত কার্য্যকর করতে নতুন সিনিয়র ভাস্কর দাস এক সাহসী পদক্ষেপ নেন, উনার এই পদক্ষেপকে সমর্থনে করেছে শহরবাসী৷ গ্রামে নয়, অবৈধ বিদ্যুৎ বিরোধী অভিযান শুরু হবে শহর থেকেই৷ তাও আবার সরকারী আবাসগুলিতে৷ সূত্রে খবর, বিলোনীয়াতে যে সমস্ত সরকারী আবাস গুলি কর্মচারীরা ব্যবহার করছেন প্রায় সব কর্মীই বিদ্যুৎ-র বিল দিচ্ছে না৷ সকলেই দেদার বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন৷ সুযোগ একটাই দীর্ঘদিন আগের কর্মচারীদের নামে রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ৷ দপ্তর পুরানো কর্মীদের নামে বিল দিলেও কেউ সেই  রিসিভ করছে না, আর এতে করে বিলও জমা পড়ছে না৷ অবশেষে আবাসে থাকা কর্মীর নাম ও রুম নম্বর নিয়ে তদন্তে নামের বিদ্যুৎ দপ্তরের ভিজিলেন্স টিম৷ বৃহস্পতিবার সকালে অভিযানে নামে বিদ্যুৎ দপ্তর৷ শুরু হয় বিদ্যুৎ সংযোগ কাটা৷ তখনই দপ্তরের কর্মীদের সাথে কারাপ  ব্যবহার শুরু করেন সরকারী আবাসের বাসিন্দারা৷ সরকারি আবাসে থাকা তিন টিসিএস অফিসারের বিরুদ্ধে ও আট-নয় মাস যাবৎ বিল না দেওয়ায় প্রমান পাওয়া যায়৷ বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের সাথে সরকারী আবাসে থাকা কর্মীরা খারাপ ব্যবহার করলে এক অধ্যাপক প্রতিবাদ জানায়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *