বামফ্রন্ট সরকারের সমালোচনায় মুখর টিপিপি’র নেতৃবৃন্দ

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ২২ অক্টোবর৷৷ শনিবার সকাল ১২টায় ত্রিপুরা পিপলস পার্টির উদ্যোগে প্রথমে বিশালগড় লালসিংমুড়াতে কমিউনিটি হল ঘরে এক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়৷ এই সম্মেলন ছিল ত্রিপুরা পিপলস পার্টির প্রথম বিভাগীয় সম্মেলন৷  এই সম্মেলনে নতুন করে বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়৷ প্রথমে চার জনের উপদেষ্টা কমিটি৷ তারপর পূর্ণ কমিটি গঠন করে ত্রিপুরা পিপলস পার্টি৷ নতুন কমিটির বিভাগীয় সম্পাদক হিসাবে মনোনিত হন অভিজিৎ সিংহ, সভাপতি হিসাবে আবুল হুসেন, সহ সম্পাদক জসীম মিঞা, ছিদ্দিক মিঞা, ও রাসদুল হক্ ও সদস্যা লালপানু বেগমকে নিয়ে কমিটি তৈরী করা হয়৷ কমিটি হওয়ার পর লালসিংমুড়া বাজারে মিছিল সংঘটিত করে এক পথ সভায় মিলিত হন ত্রিপুরা পিপলস পার্টির কর্মী সমর্থকরা৷ নেতৃত্বে ছিলেন রুহুল আমিন খন্দকার (ত্রিপুরা পিপলস পার্টির রাজ্য কমিটির সদস্য, সিপাহীজলা সম্পাদক) ও জালাল উদ্দিন (ত্রিপুরা পিপলস পার্টির রাজ্য কমিটির সদস্য)৷ রুহুল আমিন খন্দকার তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের পার্টি ৪২ দফা দাবী সমূহ নিয়ে আগামীদিন প্রতিষ্ঠিত হবে৷  ত্রিপুরা ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে যোগদানের ৬ দশক অতিক্রান্ত হয়ে গেছে৷ কিন্তু ত্রিপুরার জাতীয় পরিচিতিগুলো এখনো উন্নয়ন ও বিকাশের ন্যুনতম ফলও পাওয়া যায়নি৷ বিকাশের মডেল হলো বাদ দেওয়ার মডেল৷ নিচু তলার লোকগুলোকে, পিছিয়ে পড়া জাতীয় পরিস্থিতিকলোকে উন্নয়নে ফলস থেকে বাদ দেওয়া৷ এখানে জনসংখ্যায় ৭৮ শতাংশ  জুমিয়া কৃষক, কৃষক ও কৃষিমজুর৷ ১৯৫০ সালে ডদ্বাস্তু আগমনের পর জনসংখ্যায় অনুপাত বিরাট পরিমান কমে গিয়েছে৷ আজও আবার সেই বিপদ দেখা দিয়েছে৷ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ গঠনের পর যাতে বাংলাদেশের নাগরিকরা ত্রিপুরাতে বেআইনীভাবে বসবাস না করতে পারে এবং যারা বসবাস করছে তাদের ফেরত পাঠাবার জন্য ‘ইন্দিরা মুজিব’ চুক্তি হয়েছিল৷ চুক্তির ৪০ বছর পরও সরকার ও প্রশাসন কিছুই করতে পারেনি৷ সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ৷ কার্য্যকর রাজনৈতিক ক্ষমতার কাঠামো হিসাবে আমরা স্বশাসিত রাজ্য গঠনের মাধ্যমে সংখ্যালঘু জাতীয় পরিচিতিগুলির জাতীয় সমানাধিকার ও সমর্মযাদা প্রতিষ্ঠা করতে চাই৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *