BRAKING NEWS

গুয়াহাটির বাজারে হানা, চিনে তৈরি আতসবাজি-বাতি বাজেয়াপ্ত হিন্দু পরিষদের

গুয়াহাটি, ২৩ অক্টোবর, (হি.স.) : বিশাল পরিমাণের চাইনিজ আতস-বাজি সহ বৈদ্যুতিক আলোক-সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছেন হিন্দু যুব-ছাত্র পরিষদ অসমের কর্মকর্তারা। গতকাল শনিবার রাত এবং আজ সকালে গুয়াহাটির বিভিন্ন বাজারে হানা দিয়ে চিনে তৈরি এই সামগ্রীগুলি নিজেদের কবজায় নিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা।এ-ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাব দিতে পরিষদের সভাপতি বলেন বৈশ্য তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানান, ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ নামের যে সাপ পাকিস্তান এতদিন ধরে লালন-পালন করছে এর ফল মাঝেমধ্যে তাদেরও (পাকিস্তান) ভোগ করতে হচ্ছে। এটাকে পাকিস্তানের ত্যাগ বলা যায় না। কিন্তু চিন একে পাকিস্তানের ত্যাগ বলে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের রক্ষা করার কৌশল অবলম্বন করেছে। তিনি আরও বলেন, গত ১৭ অক্টোবর বেজিঙে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখাপাত্র হুর সুনইং পাকিস্তানের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে সন্ত্রাসবাদের হামলার শিকার পাকিস্তানকে এটা তাদের মহান ত্যাগ বলে আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু চিন যাদের মহান ত্যাগী বলে প্রচার করছে, তারা-তো সন্ত্রাসবাদের পালক, মন্তব্য বৈশ্যের।বৈশ্যের আরও মন্তব্য, সদা স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র তিব্বতকে জবর দখল করে ভারতের প্রতিবেশী হয়ে এখন এই ভারতবর্ষের বিরুদ্ধাচরণের স্থিতি অবলম্বন করেছে। এরা লাদাখের বিশাল ভারতীষ় ভূখণ্ড দখল করেছে, ১৯৬২ সালে ভারতে হামলা চালিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে জবরদখল করার অপচেষ্টা করেছে, ভারতের বিভিন্ন শত্রু দেশের সঙ্গে জোট বেঁধে ‘স্ট্রিং অব পার্ল’ গঠন করে ভারতকে ঘিরে ধরার ষড়যন্ত্র রচনা করেছে, এনএসজিতে ভারতকে অন্তর্ভুক্ত করতে বাধা দিচ্ছে। এভাবেই নানা দিক থেকে ভারতের ক্ষতি করার কাজে মনোনিবেশ করেছে লাল চিন।এত সব দেখার পরও ভারত সরকার কেন চিন-বিরোধী স্থিতি অবলম্বন করছে না তা বুঝতে পারছেন না বৈশ্য। তাই এত সব বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আর কোনোভাবে না-পারলেও প্রতিবেশী চিনের তৈরি সামগ্রী বর্জন করে ওই দেশের অর্থনীতির ওপর আঘাত করা উচিত ভারতের আসামরিক প্রতিটি দেশপ্রেমিক সর্বসাধারণের। তাঁর ব্যাখ্যা, এক দীপাবলির সময়ই গোটা ভারতবর্ষে চিনে তৈরি বৈদ্যুতিক রংবেরঙের বাতি ও আতসবাজির ব্যবসা হয় কমপক্ষে চারশো কোটি টাকার। এবার ভারতের মানুষ সেই মোটা অঙ্কের ব্যবসায় চিনকে করতে দেবেন না বলে দাবি করেছেন হিন্দু যুব-ছাত্র পরিষদ অসমের সভাপতি বলেন বৈশ্য। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অসমের জনসাধারণের কাছে চিনে তৈরি সামগ্রী বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন বৈশ্য।তিনি জানান, এত করে আহ্বান জানানোর পরও রাজ্যের কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী চোরাই পথে চিনে তৈরি সামগ্রী কিনে এনে বাজারজাত করা হচ্ছে। আর এই কাজ চলছে অতি গোপনে। তাই সামগ্রিক বিষয়ে ভেবেচিন্তে তাঁরা বাজারে বাজারে হানা দিয়ে চিনে তৈরি আতস-বাজি এবং বৈদ্যুতিক রংবেরঙের বাতি বাজেয়াপ্ত করে পুড়িয়ে দিচ্ছেন।-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *