BRAKING NEWS

ঐক্যবদ্ধ সমাজ গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম : বিদ্যাভারতীর প্রধান আচার্য দক্ষতা শিবিরে মুখ্যমন্ত্রী

হোজাই (অসম), ২৩ অক্টোবর, (হি.স.) : সমাজের বিভিন্ন ভাষাভাষী, জাতি-জনগোষ্ঠী ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ঐক্যবদ্ধতাই হচ্ছে উন্নয়নের চাবিকাঠি। ঐক্য ও সম্প্রীতি ছাড়া কোনও সমাজের উন্নতি হয় না। সমাজের উন্নতি হলেই রাজ্যের উন্নতি এবং রাজ্যের উন্নতি হলে দেশের উন্নতি সম্ভব। বিদ্যাভারতী অখিল ভারতীয় শিক্ষা সংস্থানের অন্তর্গত শিশুশিক্ষা সমিতি অসমের উত্তর অসম প্রান্তের শংকরদেব শিশু নিকেতনের প্রধান আচার্যদের দক্ষতা বিকাশ শিবিরে আয়োজিত প্রকাশ্য জনসভায় এভাবেই ভাষণ দিচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল। হোজাইয়ের গীতাশ্রমে শংকরদেব শিশু নিকেতন চত্বরে আয়োজিত জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সমাজের ভালো ও মন্দ সব বিষয়কেই আমাদের গ্রহণ করে এর মধ্য থেকে উৎকৃষ্ট বিষয়বস্তুকে গ্রহণ করতে হবে। তা করলেই সমাজের উন্নতি সম্ভব। অন্যায়-অত্যাচার, দুর্নীতি-ভ্রষ্টাচার সমাজকে আষ্টে-পৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে। তাই সংঘাত, হিংসায় জর্জরিত হয়ে উঠেছে সমাজ। এ সবকে দূরে সরিয়ে আমাদের সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে।অসমকে বিদেশিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত এবং প্রদূষণমুক্ত করার দায়িত্ব নতুন সরকারের কাঁধে দিয়েছেন রাজ্যের মানুষ। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষক-সমাজেরও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, শিক্ষার ক্ষেত্রে শিশু শিক্ষা সমিতির প্রয়াস জাতি ও রাষ্ট্রের জন্য সহায়ক। উপযুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের সর্বাঙ্গীন বিকাশ সম্ভব এবং তাদের বিকাশের ওপর ভবিষ্যৎ সমাজ নির্ভরশীল।অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রদীপ প্রজ্বলন করে আজকের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন অখিল ভারতীয় শিক্ষা সংস্থানের সম্পাদিকা অনিমা শর্মা, সহ-প্রশিক্ষণ সংযোজক অশোক পাণ্ডা, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্রহ্মাজি রাও প্রমুখ। বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি বিদ্যাভারতীর ইতিহাসে নতুন দিনের সূচনা হল বলে মন্তব্য করেন অশোক পাণ্ডা। বলেন, এর আগেও এমন অনুষ্ঠানে রাজ্যের মন্ত্রী-বিধায়কদের আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত নানা অজুহাত দেখিয়ে সে সব অনুষ্ঠানে বা শিবিরে পদার্পণ করেননি কেউ বলে খেদ প্রকাশ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর আজকের ভাষণে শিশু নিকেতনের প্রধান আচার্যদের অনুপ্রাণিত করবে বলে মনে করেন পাণ্ডে। এদিকে ব্রহ্মাজি রাও বিদ্যা ভারতীর নীতি ও আদর্শের ওপর বক্তব্য পেশ করেন। বলেন, ভারতীয় জীবনদর্শনের আধারে বিদ্যাভারতী শিক্ষার ক্ষেত্রে শিশুদের সর্বাঙ্গীন বিকাশ ঘটিয়ে পরিবর্তন আনতে চাইছে।-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *