BRAKING NEWS

বাংলাদেশ দিয়ে পাইপ লাইনে রাজ্যে এলপিজি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ সেপ্ঢেম্বর৷৷ বাংলাদেশের চিটাগাঙ বন্দর ব্যবহার করে পাইপ লাইনে এলপিজি রাজ্যে নিয়ে

ফাইল ছবি৷
ফাইল ছবি৷

আসার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে আইওসি’র৷ সেকেরকোটে বটলিং প্ল্যান্ট নির্মাণ করা হচ্ছে৷ কিন্তু বটলিং প্ল্যান্ট থেকে সিলিন্ডার উৎপাদনের ক্ষেত্রে বুলেটের মজুত বড় সমস্যা৷ সেক্ষেত্রে যদি এলপিজি সরাসরি পাইপ লাইনের মাধ্যমে নিয়ে আসা সম্ভব হয় তাহলে রাজ্যের যা চাহিদা রয়েছে তা পূরণ করেও অন্যান্য জ্বালানি ক্ষেত্রে এই এলপিজি ব্যবহার করা সম্ভব হবে৷ মঙ্গলবার খাদ্যমন্ত্রী ভানুলাল সাহা রাজ্যে এলপিজি সংকট নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে পাইপ লাইনে গ্যাস আনা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়টি জানিয়েছেন৷ তবে, ২০৩০ সালের আগে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন৷
রাজ্যে এলপিজি সংকট প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রীর যুক্তি, প্রতিনিয়ত চাহিদা বাড়ছে৷ কিন্তু চাহিদা মোতাবেক জোগান নেই৷ রাজ্যে প্রথম যখন বিশালগড়ে বটলিং প্ল্যান্ট গড়ে উঠেছিল তখন বছরে ৫ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন হত৷ বর্তমানে ১৫ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন হচ্ছে৷ তা সত্ত্বেও গ্যাসের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না৷ এই সমস্যা সমাধানে খাদ্যমন্ত্রী আইওসিকে অনুরোধ জানিয়েছেন আপাতত নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ রাখার জন্য৷ কিন্তু নতুন সংযোগ দেওয়া বন্ধ রাখাও অনেকটাই কষ্টসাধ্য৷ কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন প্রকল্প অনুসারে বিপিএল পরিবারদের মধ্যে বিনামূল্যে গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হচ্ছে৷ স্বাভাবিকভাবে চাহিদা আরো বেড়ে গেছে৷
খাদ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, চাহিদা যেভাবে বাড়ছে বটলিং প্ল্যান্টে সে মোতাবেক উৎপাদন রাতারাতি বাড়ানো সম্ভব নয়৷ মেশিনগুলি অনেক পুরানো হয়ে গেছে৷ স্বাভাবিকভাবেই বেশি উৎপাদন ঐ মেশিনগুলির পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠছে না৷ তাই এদিন তিনি বিকল্পপন্থা হিসেবে বৈদ্যুতিক চুল্লি ব্যবহার এবং পাইপ লাইনে সিএনজি গ্যাস সরবরাহ আরো বাড়াতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *