দুই দলের আন্দোলনকে অনুমতি দিয়ে লেজেগোবরে পুলিশ, উত্তপ্ত ধর্মনগর

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ সেপ্ঢেম্বর ৷৷ ঢিলছোঁড়া দূরত্বের মধ্যে বিজেপির ডেপুটেশান কর্মসূচীর জমায়েত এবং প্রদেশ TRIPURA POLICEকংগ্রেসের গণ অবস্থানকে কেন্দ্র করে শুক্রবার শান্তির শহর ধর্মনগর অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়৷ আর এই পরিস্থিতি সৃষ্টির মূলে ছিল জেলা পুলিশ প্রশাসন যারা প্রায় একই সময়ে ঢিলছোঁড়া দূরত্বের মধ্যে দুটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচীর অনুমতি দেন৷ জেলা পুলিশ প্রশাসনের এহেন কান্ডকীর্তিকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ধর্মনগর শহরবাসীর মনে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়৷
জেলা পুলিশ প্রশাসনের কান্ডকীর্তিতে শুক্রবার ধর্মনগরে দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে লঙ্কাকান্ড বাধার উপক্রম হয়৷ প্রাপ্ত সংবাদে প্রকাশ, শুক্রবার উত্তর ত্রিপুরা জেলাশাসকের নিকট এক ডেপুটেশান প্রদানের কর্মসূচী ছিল বিজেপি দলের৷ এর জন্য প্রশাসন থেকে বেলা দুটো পর্যন্ত মাইক বাজানোর এক জমায়েতের অনুমতিও নেওয়া হয়েছিল৷ এদিন বিশাল মিছিল করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা জেলাশাসকের নিকট ডেপুটেশান প্রদানের জন্য আসে৷ কিন্তু একই সময়ে কিছুটা দূরে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের সামনে ৬ ঘন্টার গণবস্থানে বসে জেলাকংগ্রেস কর্মীরা৷ এই অবস্থানে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিধায়ক বীরজিৎ সিনহাও উপস্থিত ছিলেন৷ কংগ্রেস দলের বাজানো মাইকে বিজেপির জমায়েত বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল৷ এই নিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷
এদিকে, ধর্মনগর জেলা কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ জানান, ১২ দফা দাবির ভিত্তিতে শুক্রবারের এই ৬ ঘন্টার গণবস্থানের জন্য প্রশাসনের কাছ থেকে আগাম অনুমতি নেওয়া হয়েছিল৷ বেলা ১টা থেকে এই ৬ ঘন্টার গণবস্থানের জন্য প্রশাসনের কাছ থেকে আগাম অনুমতি নেওয়া হয়েছিল৷ বেলা ১টা থেকে এই ৬ ঘন্টার গণবস্থান৷ কংগ্রেসকে আগাম অনুমতি দেওয়ার পর অন্য একটি রাজনৈতিক দলকে কি করে পুলিশ অনুমতি দিল তা নিয়েও প্রশ্ণ তুলেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতা৷
যদিও উভয় রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরাই তাদের কর্মী সমর্থকদের আয়ত্তের মধ্যে রাখতে পারায় বড় ধরনের কোন রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি৷ তবে এদিন ঘন্টা দুয়েকের জন্য ধর্মনগর শহরে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ জনসাধারণ এই ঘটনার জন্য জেলাপুলিশ প্রশাসনকেই দায়ী করেন৷ পুলিশ প্রশাসনের মুখার্মিতেই এই পরিষেবার সৃষ্টি হয় বলেও তথ্যভিজ্ঞ মহলের অভিমত৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *