BRAKING NEWS

কমলপুরে বর্ষায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি দেওয়াল ধসে দম্পতির মৃত্যু, জখম শিশু

নিজস্ব প্রতিনিধি, কমলপুর, ৩০ আগষ্ট৷৷ মেঘ ভাঙ্গা বর্ষণে কমলপুরের বহু গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি৷ পাহাড় ধসে মৃত দুই৷ জল STROMঢুকে মহকুমা ৫টি গ্রামে অসংখ্য মাটির দেওয়াল ভেঙ্গে পড়েছে৷ আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি৷ শরণার্থী শিবিরে ১২ পরিবার৷
সোমবার রাত্রে টানা চার ঘন্টা বর্ষনে কমলপুর মহকুমা অপরেশকর, নাকাশিপাড়া , পানবোয়া, শান্তিরবাজার সাবধান চৌধুরী পাড়া, মহারানীপুর, কুচাইনালা পঞ্চায়েতের মেথির মিয়া গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়৷ অপরেশকর ভিলেজ কমিটি অন্তর্গত বাদুরখাঁ পাড়ায় ধস পরে এক পরিবারে দুজনের মৃত্যু হয়৷ মৃতরা হলেন জগন্নাথ দেববর্মা (৪৮) ও মনুকন্যা দেববর্মা (৩৮) এরা সম্পর্কে স্বামী স্ত্রী এদের ১৮ বছরের কন্যা চন্দ্রিকা দেববর্মা (১৮) পাশে ঘাটে থানায় অল্পেতে রক্ষা পায়৷ বর্তমান চন্দ্রিকা আহত অবস্থায় কমলপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ এলাকাবাসী জানান গতকাল রাত আট টা থেকে ৪/৫ ঘন্টা টানা বর্ষণ চলে৷ এর ফলে হঠাৎ করে পাহাড়ের জল এবং এলাকার অসংখ্য জলাশয় ভেঙ্গে গোটা এলাকায় প্লাবিত হয়৷ তার ঘন্টা ঘানেক পরে এলাকাবাসী খবর পায় জগন্নাথ দেববর্মার বাড়ীতে ধবস পরেছে পরিবারের সকলে গৃহবন্দী৷ এলাকাবাসী জল কাঁদা পেরিয়ে রাত ১টা নাগাদ উদ্ধার কার্য চালায়৷ আহত অবস্থায় চন্দ্রিকাকে উদ্ধার করে৷ কিন্তু মাটির স্তুপ থেকে জগন্নাথ এবং উনার স্ত্রী মনুকন্যা দেববর্মাকে মৃত অবস্থায় বের করে৷ পরে এলাকাবাসী অগিন্ননির্বাপক সংস্থার সাহায্যে রাতেই আহত চন্দ্রিকা সহ তার মা বাবার মৃতদেহ কমলপুর বিএসএম হাসপাতালের মর্গে পাঠায়৷ অন্যদিকে অপরেশকর, পানবোয়া, মহারানীপুর শান্তির বাজার সাবধান চৌধুরী পাড়া, মেথির মিয়া গ্রামে প্লাবিত হওয়ায় অসংখ্য বাড়ীঘরে জল ঢুকে পরে৷ ৩০টির উপর মাটির ঘর নষ্ট হয়ে যায়৷ ২০টির উপর মাছ চাষের জলাশয় ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারন মানুষ৷ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ জানান, তাদের গরু, ছাগল, হাস, মুরগী শুকর জলের ত্তোড়ে ভেসে যায়৷ প্রায় ১৫০ হেক্টরের বেশী আমন ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা জানান৷ এদিকে মহকুমা শাসক শুভাশিষ দাসের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন মহকুমা শাসক শুভাশিস দাস জানান ধসে মৃত পরিবারকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে৷ তাছাড়া সালেমা কৃষি মহকুমা রিপোর্ট দিলে জানা যাবে কৃষকদের অবস্থা৷ অন্যদিকে নাদফুল ভিলেজ কমিটি এবং মেথির মিয়া গ্রামের ১২ পরিবার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে নাকফুল পঞ্চায়েতে এবং মেথির মিয়া সুকলে রাখা হয়েছে৷ প্রশাসনের তরফ থেকে তাদের চিড়া ঘর দেওয়া হয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *