অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মী গ্রেপ্তার নাবালিকা ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে, তেলিয়ামুড়ায় ছিঃ ছিঃ

নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২৫ জুলাই৷৷ সামাজিক অধঃপতনের এক নজির গড়ল তেলিয়ামুড়া থানাধীন নেতাজীনগর ৯নং

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ওয়ার্ড এলাকার লাহিড়ী পরিবারের সদস্য৷ ১১ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ষাটোধর্ব অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী নির্মলেন্দু লাহিড়ী৷ অভিযুক্ত শ্রীলাহিড়ী প্রাক্তন শিক্ষক কর্মচীর সংগঠনের বড় মাপের নেতৃত্ব তথা সদ্য বিভিন্ন দুর্নীতি ও পার্টি বিরোধী কাজের ফলে সিপিএম দল থেকে বহিষৃকত অরবিন্দ লাহিড়ির ছোট ভাই৷ ঘটনায় জানা যায়, গত ২১ জুলাই বিকাল পাঁচটা নাগাদ নিজের পাশের বাড়ির এক বাস কন্ডাক্টারের পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিশু কণ্যা মাঠে খেলা করছিল৷ সেখান থেকেই তাকে পেয়ারা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে নিজের সুকটিতে বসিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে৷ সুকটিতে বসা অবস্থায়ও মেয়ের গোপনাঙ্গ সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দিতে থাকে৷ নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে সে একই কাজ করে৷ তা আবার দেখে ফেলে পাশের বাড়ির এক মহিলা৷ শিশু কণ্যাটিকে ভয় দেখানো হয় কাউকে না বলার জন্য৷ ঘটনার চারদিন কেটে গেলে শিশুটি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পরে৷ তখনই পাশের বাড়ির ওই মহিলা শিশু কণ্যার মাকে সব ঘটনা খুলে বলে৷ মা মেয়েকে তা সত্য কিনা জিজ্ঞেস করতেই মেয়ে কেঁদে বলে পাশের বাড়ির দাদু আমার সাথে এই কাজ করে৷ ঘটনার পুরো বৃত্তান্ত দেয়৷ ঘটনার বৃত্তান্ত শুনে রবিবার অর্থাৎ ২৪ জুলাই সন্ধ্যায় শিশু কণ্যাকে নিয়ে থানায় এসে সব কথা খুলে বলে৷ রাত প্রায় ১০ টা নাগাদ অভিযুক্তকে থানার পুলিশ বাড়ি থেকে ডেকে আনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য৷ রাত সাড়ে দশটা নাগাদ অভিযুক্তের নামে একটি মামলা নেয় তেলিয়ামুুড়া থানার পুলিশ৷ রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ তেলিয়ামুড়া গ্রামীণ হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য৷ রাতেই অভিযুক্ত লাহিড়ীর নামে একটি কেইস রেজিস্ট্রি হয়৷ বাবাকে বাঁচাতে মরিয়া পুত্র দীপক লাহিড়ী৷ তিনি আবার তেলিয়ামুড়া গ্রামীণ হাসপাতালে এনএইচআরএম প্রকল্পে ফার্মাসিস্ট পদে চাকুরিরত৷ অধিক রাত পর্যন্ত থানার পুলিশ সহ বিভিন্ন জায়গায় ম্যানেজ করতে ব্যস্ত দেখা যায়৷ অন্যদিকে অভিযুক্তের বড় ভাইয়ের ছেলে আবার পুলিশ দপ্তরে কর্মরত৷ একদিকে তেলিয়ামুড়া থানার প্রাক্তন পুলিশ কর্মী অন্যদিকে পুলিশ অফিসার তার৷ ফলে নাজেহাল তেলিয়ামুড়া থানা৷ তবে সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে কিনা পুলিশের পক্ষে প্রশ্ণ জনমনে৷ তবে অভিযুক্ত শ্রীলাহিড়ীকে এব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি একথা অস্বীকার করেন৷
অন্যদিকে মেয়ের মা চাইছে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি৷ যাতে করে অন্য আর কোন শিশুকে এই পাষন্ড নরপিপাসুর শিকার হতে না হয়৷ পুলিশ জানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷ আজই তাকে অর্থাৎ খোয়াই কোর্টে তোলা হবে৷ চলছে তদন্ত৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *