খোয়াইয়ে বিজেপির সভায় নেতাদের চর্বিত চর্বন

Exif_JPEG_420

নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ২৯ জুন৷৷ খোয়াই শহরে বীরজিৎ সিনহার কংগ্রেস দলের অনুকরণ করা পথেই হাঁটল সুবল ভৌমিকের নেতৃত্বে বিজেপি দল৷ তেলিয়ামুড়া, কল্যাণপুর সহ নানান এলাকা থেকে জনগণকে এনে খোয়াই শহরে পথ সভার আয়োজন করল বিজেপি৷ একই কায়দায় পুরনো রেকর্ড বাজিয়ে শোনালেন বিজেপি নেতৃত্বরা৷ যদি ১৯৭৭ ইং সালের আগেকার সরকার অর্থাৎ কংগ্রেস সরকারের গুণগান গাইলেন সুবল ভৌমিক৷ বললেন ৭৭ইং’র আগে ত্রিপুরা ছিল শান্ত৷ কোন ভেদাভেদ, রাজনৈতিক সংঘর্ষ ছিল না৷ অথচ বর্তমান সমস্যা নিয়ে কোন কথা বললেন না৷ বর্তমানে জনগণ দিশেহারা৷ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ, পানীয় জল ও রাস্তাঘাটের সমস্যার পাশাপাশি চিকিৎসা পরিষেবার জ্বলন্ত সমস্যাগুলি নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বদের কোন কিছুই বলতে শোনা যায়নি৷ দুর্নীতি, নারী নির্যাতন, ক্রমাগত খুন, ধর্ষণ, সাধারণ মানুষকে বঞ্চনা ইত্যাদি ইস্যুগুলিকে নিয়ে রাজ্য বিজেপির খোয়াই জেলা কমিটির উদ্যোগে খোয়াই শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও বিক্ষোভ সবা করা হয়৷ বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি সুবল ভৌমিক৷ আজ বিকেলে খোয়াই অফিসটিলা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয় সুবল ভৌমিকের নেতৃত্বে৷ মিছিলটি লালছড়া, দুর্গানগর, পুরাতন বাজার, হয়ে সেষ হয় সুভাষ পার্ক এর  কোহিনূর এর  সামনে৷ পরে সেখানে হয় একটি পথসভা৷ পথসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি সুবল ভৌমিক, জেলা সভাপতি হরিশংকর পাল, জেলা সম্পাদক শম্ভু বিশ্বাস, রাজ্য কমিটির সদস্য সজল আচার্য্য৷ এছাড়া ছিলেন বাহু কুমার দেববর্মা৷ পরেশ বিশ্বাস সহ জেলার বিভিন্ন মন্ডলের নেতারা৷ বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি বলেন এ রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকার প্রায় চবিবশ বছর ধরে ক্ষমতায় টিকে আছে কংগ্রেসের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে৷ প্রতি নির্বাচনেই বামপন্থী নেতারা ফেস্টুন ব্যানারে লিখে প্রচার করে আরো বেশি উন্নয়নের জন্য বামফ্রন্টকে ভোট দিন৷ সুবল ভৌমিক বলেন উন্নয়নের সংজ্ঞাটা কি? বামফ্রন্ট ভোটারদের অন্ধকারে রেখেই দিনের পর দিন কেন্দ্রীয় প্রকল্প গুলিকে রাজ্যের  প্রকল্প দেখিয়ে ভোট আদায় করছে৷ এই প্রতারণার নামই কি উন্নয়ন? সুবল ভৌমিক বলেন উত্তরপূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির জন্য বছর বছর যে বাড়তি বাজেট হয়ে আসছে সে টাকার কতটা সঠিকভাবে জনগণের উন্নয়নের কাজে এসেছে তার জবাব দিতে পারবে মুখ্যমন্ত্রী মানিকবাবু৷ সুবল ভৌমিক  বলেন, সরকারি অর্থের লুটপাট, ব্লকে ব্লকে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতিগুলি রাজ্যের উন্নয়ন হতে পারে না৷ রাজ্যের মানুষ যথেষ্ট সচেতন হয়েছে৷ তারা সে দলের উপর বিশ্বাস করে চলছিল সে দল কতটা বিশ্বাসযোগ্য তা রো রাজ্যের মানুষ পশ্চিমবাংলার নির্বাচনেই দেখেছে৷ শ্রী ভৌমিক বলেন পশ্চিমবাংলার সি পি এম নেতারা যখন মানুষকে মানুষ বলে গণ্য করা ছেড়ে দিয়েছে ঠিক তখনই তাদের পতন হওয়া শুরু হয়৷ আর এ রাজ্যের সিপিএম নেতা মন্ত্রীরাও পশ্চিমবাংলার  ধাঁচেই র াজ্যের জনগণকে মানুষ হিসেবে ভাবে না৷ আর তাই এ রাজ্যের মানুষই সিপিএমকে ২০১৮ সালে মাটি চাপা দেবে৷ সুবল ভৌমিক বলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী ত্রিপুরার মানুষকে ১৮ মাসের মধ্যেই আগরতলা  পর্যন্ত ব্রডগেজ রেললাইন পৌঁছে দিয়েছে৷ ত্রিপুরার জাতীয় সড়ক ডাবল লাইনে পরিণত করার কাজ শুরু হয়ে গেছে৷ আগরতলা বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর তৈরির ঘোষণা হয়ে গেছে৷ আগরতলা সিটিকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তর করা হচ্ছে৷ মাত্র দুবছর এর মধ্যেই দেশের বিজেপি সরকার ত্রিপুরার মানুষের জন্য একাজগুলি করে দিয়েছে৷ রাজ্যের মানুষের আশীর্বাদ পেলে ত্রিপুরার চিত্রই বদলে ফেলতে পারে বিজেপি সরকার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *