BRAKING NEWS

রাজ্যে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, তবে চিন্তিত স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়ে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ মে৷৷ রাজ্যে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে৷ তবে প্রত্যন্তে স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে উঠা বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে চিন্তিত স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাদল চৌধুরী৷ জানালেন, কিছু কিছু জায়গায় স্বাস্থ্যকর্মীদের গাফিলতির অভিযোগ আসছে৷ এই সময়ে ম্যালেরিয়ার আক্রান্তের ঘটনা বেশি ঘটে থাকে৷ ফলে কোন স্বাস্থ্যকর্মীর গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না৷ প্রয়োজনে বাড়তি সময় কাজ করতে হবে বলে কড়াবার্তা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷
Badal Dengueশনিবার মহাকরণে তিনি আরো জানিয়েছেন, ম্যালেরিয়া নিয়ে এখন পর্যন্ত চিন্তার কোন কারণ নেই৷ অবশ্য, ধলাই জেলার গন্ডাছড়া, গঙ্গাঁনগরে সম্প্রতি ম্যালেরিয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ তবে, সব রকম প্রস্তুতি স্বাস্থ্য দপ্তরের নেওয়া আছে৷ আগামী ৩০ মে ম্যালেরিয়ার পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে গন্ডাছড়া সফর করবেন বলে জানিয়েছেন৷ সেখানে পর্যালোচনা বৈঠক করা হবে৷ তাতে থাকবেন, স্বাস্থ্যসচিব, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধিকর্তা, স্বাস্থ্য দপ্তরের যুগ্ম-অধিকর্তা, ধলাই জেলাশাসক, গন্ডাছড়া এক তৎসংলগ্ণ৷ বিভিন্ন হাসপাতাল, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী সহ জনপ্রতিনিধিরাও থাকবেন৷ বর্তমান পরিস্থিতি এবং আগামীদিনে কি ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া দরকার সে সমস্ত বিষয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে আলোচনা হবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন৷
এদিকে, ম্যালেরিয়া সম্পর্কে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান স্বাস্থ্য দপ্তরের যুগ্ম-অধিকর্তা ডাঃ প্রণব চ্যাটার্জি৷ তাঁর দাবি চলতি মাসে ম্যালেরিয়ায় মাত্র একজনের মৃত্যু হয়েছে৷ এছাড়াও আরো ৮ জনের জ্বর হয়ে মৃত্যু হয়েছে৷ তবে তাঁর বক্তব্য, ওঁরা সকলের জ্বর হয়েছে বলেই মৃত্যু হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ঐ জ্বর ম্যালেরিয়া কিনা তার সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেনি৷ কারণ ওঁদের মধ্যে অনেকেরই জ্বর হয়েছে বাড়িতেই মৃত্যু হয়েছে৷ ফলে রক্ত পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি৷ ওঁরা বাড়িতে থেকে হাতুড়ে চিকিৎসকের চিকিৎসা নিয়েছে৷ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তাদের রক্ত পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব হতো৷ ডাঃ চ্যাটার্জির বক্তব্যে অনেকটাও স্পষ্ট, যাদের জ্বর হয়ে বাড়িতেই মৃত্যু হয়েছে ওঁরা যে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়নি তার নির্দিষ্ট কোন প্রমাণ স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে নেই৷ এদিন ডাঃ চ্যাটার্জি আরো জানিয়েছেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১৭২৭ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন৷ এদের মধ্যে পিএফ ম্যালেরিয়ার জীবাণু পাওয়া গেছে ১৪৫৭ জনের রক্তের নমুনায়৷ এই ১৭২৭ জনের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন৷
এছাড়া, মেনিঙ্গোকক্কাল মেনিনজাইটিসের হাত থেকে বাঁচাতে টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ ফলে এখনো পর্যন্ত কাউকেই এই রোগে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়নি৷ এদিকে, জাপানিজ এনকেফেলাইটিসে ১৪জন, ডেঙ্গুতে ৭ জন এবং চিকনগুনিয়ায় ৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে চিহ্ণিত করা গেছে৷ মৃত্যুর এই সব রোগের কারণে মৃত্যুর কোন খবর নেই৷ তিনি আরো জানিয়েছেন, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচাতে ৯লক্ষ ৯১ হাজার ৯৬১ টি মশারি এখন পর্যন্ত বিলি করা হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *