BRAKING NEWS

ম্যালেরিয়া নিয়ে সতর্ক করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Malariaনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ এপ্রিল৷৷ রাজ্যের ৩১টি এলাকা ম্যালেরিয়া কবলিত হিসেবে চিহ্ণিত হয়েছে৷ ফলে, প্রতিবছর মার্চ থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত এই সময়ে যেহেতু রাজ্যে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেশি থাকে, সেক্ষেত্রে আরো অধিক সজাগ ও সচেতন হওয়ার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সকলের পাশাপাশি রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যেও আহ্বান রাখেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী বাদল চৌধুরী৷ সোমবার আগরতলাতেও পালিত হয় বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস৷ এই উপলক্ষ্যেআয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাদল চৌধুরী রাজ্যে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দিনে দিনে কমছে বলে দাবি করেন৷ তবে, এখনো এই রাজ্য ম্যালেরিয়া কবলিত রাজ্য হিসেবেই চিহ্ণিত৷ এমনকি রাজ্যের ৩১টি এলাকা ম্যালেরিয়া প্রবণ জোন হিসেবে চিহ্ণিত হওয়ায় তিনি আত্মসন্তুষ্টিতে ভোগার কোন কারণ নেই বলে মন্তব্য করেন৷ এদিন তিনি জানান, ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে ম্যালেরিয়ায় প্রাণহানির ঘটনা অনেকটাই কমাতে সক্ষম হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর৷ যেখানে ২০১৪ সালে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৯৬ জন মারা গিয়েছিলেন৷ সে তুলনায় ২০১৬ সালে এখন পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোন খবর নেই৷ এদিন তিনি জানান, ২০১৬ সালে এখন পর্যন্ত ১২৭৫ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত বলে চিহ্ণিত হয়েছেন৷ তিনি আরো জানান, ২০১৫ সালে প্রায় ৩২ হাজার মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন৷ এদের মধ্যে ২১ জন মারা যান৷ গত দুইবছরের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, রাজ্যে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ কমছে৷ পাশাপাশি এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও কমছে৷ এদিন তিনি, রাজ্যকে ম্যালেরিয়া মুক্ত করার ডাক দিয়েছেন৷
উল্লেখ্য, সুস্থ থাকতে ম্যালেরিয়া নির্মূল করুন এই আহ্বানকে সামনে রেখে আজ মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস পালিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে রাজ্যভিত্তিক এক আলোচনাচক্র আয়োজিত হয়৷ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এই আলোচনাচক্রের আনুষ্ঠানিক সূচনা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাদল চৌধুরী বলেন, ম্যালেরিয়া একটি জীবাণুবাহিত রোগ৷ অতীতের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সাধারণত প্রতিবছর মার্চ থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত এ সময়ে রাজ্যে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেশি থাকে৷ এই সময়কার যে আবহাওয়া তা ম্যালেরিয়া জীবাণু ছড়ানোর ক্ষেত্রে একটি উৎকৃষ্ট সময়৷ এই সময়ে সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হবে৷ পাশাপাশি এই রোগ প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন করে তোলার উপরও সমান গুরুত্ব দিতে হবে৷ এই সময়ে যাতে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব না বাড়ে এজন্য স্বাস্থ্যকর্মী, আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সহ সংশ্লিষ্টদের বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে৷
সেমিনারে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন অধিকর্তা রাভেল হেমন্ত কুমার, পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধক দপ্তরের অধিকর্তা ডা কে এল ভৌমিক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সোসাইটির সদস্য সচিব ডা এস কে চাকমা, এন ভি বি ডি সি পি এর এস পি ও ডা কাজল দেবগুপ্ত প্রমুখ এই রোগ প্রতিরোধের উপর আলোচনা করেন৷ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন স্বাস্থ্য দপ্তরের জনসংযোগ আধিকারিক পারিজাত দত্ত৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *